ষ্টাফ রিপোর্টার:
ট্রাফিক পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামা, সঠিক লেন না মেনে গাড়ি চালানো, সড়কে মানুষের চলাচল, ফুটপাত দখল, হঠাৎ বৃষ্টির জন্য জলাবদ্ধতা, রিকশা-অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের নিয়মহীন চলাচল, ভাঙা ও সরু রাস্তা ইত্যাদিকে।ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর বেশ কিছুদিন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ছিল না। সেই সুযোগে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ঢাকায় প্রবেশ করেছে। এসব রিকশা এতটাই বেপরোয়া যে, তারা এয়ারপোর্ট রোডেও চলতে দ্বিধা করছে না।তিনি বলেন, কয়েকদিন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও এসব রিকশা উঠতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়ার ঘটনার পর ফ্লাইওভার দিয়েও ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা গেছে। এখন নগরীর সব রাস্তায় এসব নিষিদ্ধ যান অবাধে চলাচল করছে। এগুলোই মূলত যানজটের সৃষ্টি করে মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। দ্রুত এসব নিষিদ্ধ যান চলাচল বন্ধ করতে না পারলে রাজধানীতে এরা ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে জনজীবন স্থবির করে দেবে।হাসিনা সরকার পতনের পর পুলিশ এবং সাধারণ জনগণের মধ্যকার সম্পর্কে ব্যাপক টানাপোড়ন পড়ে। আর এতে করে বেশ কিছুদিন কর্মবিরতির পর সড়কে পুলিশ নামলেও তাদের মধ্যে আগের মতো কর্মস্পৃহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, এমনটাই অভিযোগ করছেন নগরবাসী। নগরীর বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ যদি আগের মতো সড়কে কাজ না করে তবে এ যানজট দিনকে দিন বেড়েই চলবে।বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরেফিন বলেন, সড়কে দিনকে দিন যানজট বেড়েই চলছে। পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ সড়কে যেন থেকেও নেই। তারা আগের মতো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে না। অনেকটা নীরব দর্শকের মতো দায়িত্ব পালন করছেন।বাংলামটর এলাকায় দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক সদস্য বলেন, আমরা যানজট নিরসনে প্রাণপণ চেষ্টা করছি। কিন্তু অনেকেই আমাদের কথা শুনতে চান না। পাল্টা নানা অজুহাতে ধমক দেন।
প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It
Leave a Reply